“আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম [মাদরাসা] ও এতিমখানা”। জ্ঞান-গরিমা প্রাচুর্য নিয়ে কেহ আসেনা এ ধরার ধুলিতে। নিরন্তন চেষ্টা ও অধাবসায়ের আবরণী বেয়েই তাকে চগতে হয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার শৈলচূড়ে। তবেই না সে হয় মানুষ। আর মানবতার বিকাশ ঘটাতে শিক্ষা হচ্ছো বিকল্পহীন উপায়। শিক্ষার গুনেই জাতির উচ্চ নিম্নের তারতম্য হয় “আল্লাহ প্রদত্ত প্রকৃত শিক্ষাই জাতির মেরুন্ড”। যে কোনো নভাযোন কিংবা কম্পিউটার ইত্যাদি যেমন তার আবিস্কারকের দেওয়া থিওরি বা তথ্য অনুযায়ী পরিচালনা করতে হয়। তেমনি মহাবিশ্বের সকল ব্যবস্থায় চলতে পারে কেবল মহা বিজ্ঞানী আল্লাহর দেয়া বিধান অনুসারে। যা তিনি দিয়েছেন ইসলাম নামক পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার রূপ দিয়ে। যার উৎসা হচ্ছে কুরআন ও হাদিস।
সুতরাং কুরআন ও হাদিসের বিধান অনুসারেই আসতে পারে মানুষের জাগতিক ও পারলৌকিক সুখ-সনমৃদ্ধির চূড়ান্ত বাস্তবতা। সেই সূত্রে কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানার্জনের নিমিত্তে ভারতীয় উপমহাদেশে ছিল হাজার হাজার দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ক্ষমতালি, ধুরন্ধর, কু-চক্র, শ্বেতাঙ্গ ইংরেজ গোষ্ঠী যখন এ দেশে অনুপ্রবেশ করে ক্ষমতার যষ্ঠি হাতে নিল, তখন স্বীয় অবস্থা মজবুত করতে তারা ফেরআউনি পন্থার ক্রমবিকাশ ঘটিয়ে মুসলিম কৃষ্টিকালচার ও তাহযিব-তমাদ্দুনকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রায় ৮০ হাজার দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়। বিপন্ন জাতির নিমজ্জমান ভাগ্যতরীর হাল ধরে মুসলিম জাতির সভ্যতা ও আদর্শকে সতেজ রাখতে মুসলিম নেতৃবৃন্দ ১৮৬৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার অন্তর্গত দেওবন্দে এক ঐতিহাসিক ইলমে নববি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন করেন, যা “দারুল উলুম দেওবন্দ” নামে খ্যাত। সেখানকারই উসতাদ ও ছাত্রবৃন্দের নেতৃত্বে ঘটেছিল ভারত বর্ষের স্বাধীনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের সূত্রপাত। ধীরে ধীরে ফুলের সুরভির মত সারা বিশ্বে এ প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ও সুনাম ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় গণমুখি জাতীয় (কাওমি) মাদরাসা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের হাজারো মাদরাসার মধ্যে আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল , ব্যাংক কলোনী, সাভার, ঢাকাও তেমনি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।